দার্জিলিং(Darjeeling) যাকে কিনা বলা হয় ” Queen of the Himalayas ”, কেনোই বা বলবে না হিমালয়ের কোলঘেসে গড়া ওঠা সুন্দর একটি শহর দার্জিলিং, যেখান থেকে আপনি সূর্যদয়ের সময়কার হিমালয় কে উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে সবুজে ভরা পাহাড় যার গায়ে চাদরের মতো জড়িয়ে আছে চা গাছ। এছাড়াও রয়েছে ইতিহাসের অনেক নিদর্শন। এজন্যই পূর্ব ভারতের অন্যতম সুন্দর হিল স্টেশন হলো দার্জিলিং।
বিষয় সূচী
Toggleবহু বছর থেকেই দার্জিলিং তার সুন্দর জলবায়ু ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য অবসর যাপনের একটা আদর্শ স্থান হয়ে উঠেছে । এখানকার দর্শনীয় স্থান গুলো হলো –
টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখার জন্য বহু পর্যটক এখানে এসে ভীড় করেন । এছাড়াও আবহাওয়া ভালো থাকলে এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং মাউন্ট এভারেস্ট ও চোখে পড়বে ।
মূল দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র 5 কিমি দূরে অবস্থিত বাতাসিয়া লুপ ভারতের অন্যতম মনোরম ও রোমাঞ্চকর ট্রেন জার্নি।
” টয় ট্রেন ” হিসেবে পরিচিত এই ট্রেন জার্নি দার্জিলিং এর এক অন্যতম প্রধান আকর্ষণ । এই ট্রেন চলে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং শহর পর্যন্ত ।
এগুলো ছাড়াও দার্জিলিং এ রয়েছে চিড়িয়াখানা, বেঙ্গল ন্যাচরাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম , হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট। এছাড়াও এখানে জায়গায় জায়গায় বহু প্যাগোডা এবং মনেস্ট্রি দেখা যায়।
দার্জিলিং ভ্রমণের উপযুক্ত সময় এপ্রিল থেকে জুন এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর । এই সময় দার্জিলিং এর আবহাওয়া সবথেকে ভালো থাকে ।
দার্জিলিং একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হওয়ায়, এটি দেশের অন্যান্য অংশ গুলির সাথে ভাল ভাবে সংযুক্ত। এখানে দার্জিলিং যাওয়ার উপায় বলা হয়েছে।
দার্জিলিং-এ পৌঁছানোর নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন নিউ-জলপাইগুড়িতে অবস্থিত এবং এটি দার্জিলিং থেকে 88 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্টেশন থেকে দার্জিলিং-এ গাড়ির মাধ্যমে গেলে প্রায় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় লাগে। ভারত জুড়ে সব ট্রেনগুলি এই স্টেশনে পৌঁছায়।
দার্জিলিং এর প্রতিবেশী শহরগুলির সাথে নিয়মিত বাস দ্বারা ভালো ভাবে সংযুক্ত, যেমন – শিলিগুড়ি, কার্শিয়াং, গ্যাংটক, কালিম্পং। শিলিগুড়ি থেকে রিজার্ভ বা শেয়ারড জীপে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটের মত সময় লাগে দার্জিলিং পৌঁছাতে।
শিলিগুড়ির কাছাকাছি বাগডোগরা হল দার্জিলিং-এর নিকটতম বিমানবন্দর, যা দার্জিলিং থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই বিমানবন্দর দিল্লী, কলকাতা ও গুয়াহাটি থেকে নিয়মিত বিমান দ্বারা সংযুক্ত।
ট্যুরিস্ট এরিয়া হওয়াতে এখানে বিভিন্ন রেঞ্জের হোমস্টে, আবাসিক হোটেল, রেস্ট হাউজ আছে। দার্জিলিংয়ে ক্লক টাওয়ার ও মল রোডের আশেপাশে অনেক হোটেল আছে, দরদাম করে উঠতে পারেন। পিক সিজনে মানে এপ্রিল-জুন ও অক্টোবর-ডিসেম্বরে রুম রেন্ট একটু বেশি নিতে পারে। তবে আগে থেকে বুকিং না করে গেলেও থাকার জায়গা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। যদি মাউন্টেইন ভিউ রুম নিতে চান, তাহলে আগেই হোটেল রিসেপশনে কথা বলে নিবেন।
কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে আপনারা কিছুটা হলেও আইডিয়া পেয়েছেন আশা করি। তাহলে প্ল্যান করে ফেলুন তাড়াতাড়ি। গ্রুপ ট্যুর হোক বা কাপল ট্যুর, মুগ্ধতায় কেটে যাবে আপনার ছুটির দিনগুলো
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অমিত এখন বেসরকারী চাকুরীরত । পড়াশোনার পাশাপাশি লেখাটাও তার একটা নেশার মধ্যে পরে ।