Caste-Based Survey In Bihar : বিহার সরকার জাতিভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে | বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনার এই ফলাফল ২০২৪ এ ভোটের বাজারে একটা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে । জাতপাতের এই পরিসংখ্যান বদলে দিতে পারে বিহারের ভোটের অঙ্ক। সেই জনগণনার কথা উল্লেখ না করেও এনিয়ে বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীরা জাতপাতের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। গরিব মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা চলছে।
জাতি ভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট অনুযায়ী বিহারের জনসংখ্য়া ১৩ কোটি ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ৩১০। বিহারে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণী বিভাগে ৬৩ শতাংশ মানুষ রয়েছে। অতি পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে পড়েছেন ৩৬ শতাংশ মানুষ, পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে রয়েছেন ২৭.১ শতাংশ। তপসিলি জাতির মানুষ রয়েছেন ১৯.৭ শতাংশ মানুষ, এছাড়াও তপসিলি উপজাতিভূক্ত মানুষ রাজ্যের ১.৭ শতাংশ। রাজ্যে জেনালের ক্যাটেগরির মানুষ মাত্র ১৬ শতাংশ। রাজ্যে ভূমিহারের হার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, মুখ্যমন্ত্রী জাতি কুড়মিরা রয়েছেন ২.৮৭ শতাংশ।
কংগ্রেসের তরফে এক বিবৃতিতে আজ বলা হয়েছে, ইউপিএ আমলে জাতিভিত্তিক জনগণনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই গণনার ফল প্রকাশ করেনি মোদী সরকার। সমাজের প্রান্তিক মানুষকে শক্তিশালী করতে গেলে এই ধরনের জনগণনার রিপোর্ট হাতে থাকা প্রয়োজন। এতে দেশের পিছিয়েপড়া মানুষের প্রতি সামাজিক ন্যায় করা হবে।
যদিও একটা খুশির খবর যে বৃহস্পতিবার (৪ মে), বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক জনগণনার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল পটনা হাইকোর্ট। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি থেকে বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনা শুরু হয়েছিল।
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দের ভিন্ন মতামত আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম । একজন মানুষ নিজে যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তাখন আর কি সংরক্ষণের প্রয়োজন থাকে নাকি সেই মানুষটার সংরক্ষণ বেশি দরকার যার কিছু নেই, যে গরীব । আমাদের শ্রেণী বৈষম্য জাতিভিত্তিক না হয়ে আর্থ সামাজিক অবস্থার উপর হওয়া উচিৎ বলে আমার মনে হয় ।
এর পাশাপাশি দেশের প্রতিটা জনগনের কাছে আমার প্রশ্ন আজ ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে কি আমাদের সত্যিই জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রয়োজন আছে? ভারত আজ শক্তিশালী দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলির একটি। যদি আমরা উন্নত দেশগুলির দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাবো যে সেখানে জাতিভিত্তিক জনগণনা না হয়ে জনগণনা হয় মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উপর এবং তাদের নীতি নির্ধারণ ও হয় এটার উপর ভিত্তি করেই । কিন্তু আমরা যদি আমাদের দেশের দিকে তাকাই তাহলে আমরা ধীরে ধীরে সংরক্ষণের প্রতি আরো নির্ভর হয়ে পড়ছি । আমাদের মনে হয় এটার থেকে বেরিয়ে আসার কথা এখন ভাবা দরকার । সব কিছুতে সংরক্ষণ আমাদের উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে, আমার এই মতের সাথে অন্য অনেকের মিল নাও থাকতে পারে এবং এটা আমার সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত মতামত ।