সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly) : সৌরভ গাঙ্গুলি একজন খ্যাতনামা ক্রিকেটার বা বলা যেতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি আমাদের বাঙালির গর্ব। এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানকে চেনে না হয়তো এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর । তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছে ভিন্ন নামে পরিচিত। কেউ তাকে বলে বাংলার দাদা আবার কেউ তাকে বলে প্রিন্স অফ ক্যালকাটা, বেঙ্গল টাইগার, গড অফ অফসাইড। এমনই বহু নামে ডাকা হয় তাকে। তবে বিভিন্ন নামে তাকে ডাকা হলেও, ওঠাপড়া ও বিভিন্ন সমস্যা মিলিয়ে রয়েছে ভারতীয় প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির জীবন। সর্বকালের সেরা অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন । এই মুহূর্তে ক্রিকেট বিশ্ব যাঁকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের স্বীকৃতি দিয়েছে তিনি হলেন একমাত্র সৌরভ গাঙ্গুলী । জীবনের প্রথম দিন থেকে অসংখ্যবার হারতে হারতে হারের কিনারা থেকে তিনি ফিরে এসেছেন সাফল্যের স্বর্ণশিখর প্রাঙ্গনে । তাই আজও রাজকীয় মহিমায় শাসন করেছেন ক্রিকেট বিশ্বকে ।
বিষয় সূচী
Toggleসৌরভ গাঙ্গুলীর শৈশব
বাঙালির গর্ব সৌরভ গাঙ্গুলির জন্ম হয় ৮ ই জুলাই, ১৯৭২ সালে কলকাতার বেহালায়। বাবা চন্ডীদাস গাঙ্গুলি এবং মা নিরুপমা গাঙ্গুলির কোল আলো করে জন্ম নেয় এই আজকের সময় দাঁড়িয়ে একজন প্রতিষ্ঠিত এবং সকলের প্রিয় মানুষ সৌরভ গাঙ্গুলী।তখনকার দিনে পশ্চিমবাংলার ক্রিকেট থেকে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ছিল অনেকটাই বেশি ।
বাল্যবয়স থেকেই সৌরভ গাঙ্গুলি ফুটবল খেলতে খুব পছন্দ করতেন। পড়াশুনোর পাশাপাশি তার ফুটবল খেলার প্রতি ঝোঁক ছিল অনেক। কিন্তু তার বাবার স্বপ্ন ছিল সৌরভ গাঙ্গুলিকে একজন ক্রিকেটার বানানোর।সৌরভ গাঙ্গুলিরা ছিলেন দুই ভাই, সৌরভ গাঙ্গুলী এবং স্নেহাসিশ গাঙ্গুলি। স্নেহাশীষ গাঙ্গুলি যিনি আসলে বাংলার ক্রিকেটার ছিলেন। আর তিনি তার ভাইকে পরবর্তীকালে ক্রিকেট খেলতে সাহায্য করেন। সৌরভ গাঙ্গুলির বাবা তার দশ বছর বয়সেই তাকে কলকাতার একটি নামি ক্রিকেট একাডেমীতে ভর্তি করে দেন।কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুল থেকে তিনি সর্বপ্রথম প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এবং সেই স্কুলেরে ক্রিকেট একাডেমীতে তিনি ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসাবে ও যোগদান করেন।
ক্যারিয়ারের প্রথম জীবন
স্কুল জীবন শেষ হওয়ার পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তখন থেকেই তিনি তার দাদা স্নেহাশীষ গাঙ্গুলির সঙ্গে খেলাধুলো করতেন এবং ব্যবসার কৌশলও ভালোই শিখেছিলেন। ওড়িশার আন্ডার- ১৫ দলের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম সেঞ্চুরি করেন। সেই দিন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং সকলকে মুগ্ধ করে দেয় এবং তার নাম সারা জায়গায় চর্চিত হতে শুরু করে। যার দরুন তাকে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ক্রিকেট একাডেমীতে সরাসরি অধিনায়ক পদে গ্রহণ করা হয়।
রনজি ট্রফিতে অংশ গ্রহণ
ইডেনে যখন রনজি ট্রফির ফাইনাল নিয়ে সবার মধ্যে একটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, ঠিক তার আগে একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে গেল । তখন বাংলার অধিনায়ক ছিলেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে মিডল অর্ডারে খেলাতে চাইলেন । যা নিয়ে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয় । কারণ সেই সময় বাংলায় প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের ছড়াছড়ি । কাকে বাদ দিয়ে সৌরভকে ঢোকানো হবে ? শেষ পর্যন্ত সম্বরণের চাপে সরে যেতে হল দাদা স্নেহাশীস গঙ্গোপাধ্যায়কে । সি.এ. বি – র তৎকালীন সহসভাপতি চন্ডী গঙ্গোপাধ্যায় বাড়ি ফিরলেন মহারাজের জন্য আনন্দ আর স্নেহাশীসের জন্য দুঃখের বোঝা মাথায় নিয়ে । এরপর ১৯৮৯ সালে রনজি ফাইনালে কোশেনটে বাংলা চ্যাম্পিয়ান হয় । ২২ বলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় করেছিলেন ২৩ রান । ছোট্ট এই ইনিংসের অবদানের কথা হয়তো অনেকে ভুলে গেলও ,ক্রীড়া সমালোচকরা বলে থাকেন , সৌরভ তখন থেকেই জাতীয় নির্বাচকদের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিলেন ।
ক্রিকেট জীবন
১৯৯১-৯২ সালে যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবার সুযোগ পেলেন , সেই সফরে গিয়ে সৌরভের যে অভিজ্ঞতা হল ,তা তিনি সারা জীবন মনে রাখেন । তিনি বুঝতে পারলেন , কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সহখেলোয়াড়রা তার সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না । এমনকি সিনিয়ার ক্রিকেটাররাও প্রচণ্ড অসহযোগিতা করছেন । ত্রিদেশীয় একদিনের সিরিজে সান্ত্বনা পুরস্কারের মতো একটি মাত্র ম্যাচে খেলার সুযোগ পেলেন তিনি ।তারপর যখন ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সৌরভকে নেওয়া হল , সেই সময় সৌরভ গাঙ্গুলীর কোনোরকম মানসিক প্রস্তুতি ছিল না । এই প্রথম বিশ্বক্রিকেটের ‘ অঙ্গনে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটলেও মাত্র ৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন । যার পর নির্বাচকরা সতেরো বছরের কিশোরকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করলেন । ভাবতে অবাক লাগে শচীন তেন্ডুলকর জীবনে প্রথম দুটি একদিনের ম্যাচে শূন্য করেও তৃতীয় ম্যাচে জায়গা পেয়েছিলেন , সেই জায়গায় সৌরভকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয় । তবে তিনি হার স্বীকার করেননি । বুক চিতিয়ে লড়াই করে বারবার রঙ্গমঞ্চে ফিরে আসার এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় । একথা অস্বীকার করার বিন্দু মাত্র স্থান নেই যে , সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হলেন ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক । বিচক্ষণ বুদ্ধি এবং রাজকীয় ঔদ্ধত্য নিয়ে বিপক্ষ দলকে শাসন করেছেন । আজ যে ভারতীয় ক্রিকেট সারা বিশ্বে অত্যন্ত সমীহ আদায় পাচ্ছে , তার অন্তরালে আছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের লড়াকু মেজাজ । তিনিই প্রথম বিদেশীর চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন । বিদেশী অধিনায়ককে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন টস করানোর জন্য । অহংকার আর রাজকীয় মহিমায় শাসন করেছেন ক্রিকেট বিশ্বকে । বাঁ হাতি খেলোয়াড় হিসাবে সৌরভের কোনো তুলনা নেই । ব্যাটিং এর পাশাপাশি মিডিয়াম পেসার হিসাবে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছেন । আর তাঁর এই ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক ও লড়াকু মেজাজকে বিশ্বে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া সমালোচকরা বারবার কুর্নিশ করেছেন ।
ইংল্যান্ড সফর
অন্য কেউ হলে হয়তো আর লড়াইয়ের ময়দানে আসতে পারতেন না । কিন্তু সৌরভ ছিলেন অনমনীয় দৃঢ়তার প্রতীক । ১৯৯৫ সালে জাতীয় নির্বাচক হলেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর অক্লান্ত চেষ্টায় ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ড সফরে সৌরভের নাম বিবেচিত হল । বলা হল , তিনি নাকি কোটার খেলোয়াড় । প্রথম টেস্টে ভারত হেরে গেছে , দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের মক্কা লর্ডস শহরে । সেই সময় সৌরভ গাঙ্গুলীর ছোটখাটো ভুলের জন্য চার চারটি বছর সৌরভের জীবন থেকে হারিয়ে যায় । কিন্তু সমসাময়িক খেলোয়াড় শচীন ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন । সৌরভ বোধহয় সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন । লর্ডসের ২২ গজের মাঠটাকেই বেছে নিলেন নিজেকে প্রকাশ করার মঞ্চ হিসাবে । দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে স্তব্ধ করলেন সমালোচকদের মুখ । পরের টেস্টে আবার শতরান । এরপর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভের জয়যাত্রা শুরু । বিশ্বের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বর্তমানে ক্রীড়া ভাষ্যকার জিওফ বয়কট তাঁকে ডাকতেন প্রিন্স অব ক্যালকাটা নামে ।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর রেকর্ড
টেস্ট ম্যাচের পাশাপাশি একদিনের ক্রিকেটেও সৌরভের আবির্ভাব যথেষ্ট সাড়া জাগিয়েছিল । সৌরভ এগিয়ে গেলেন ঝড়ের গতিতে । একটির পর একটি সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখে রাখলেন । শচীনের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে তিনি হয়ে উঠলেন সকলের কাছে ঈর্ষণীয় । তখন শচীন ও সৌরভের নাম ক্রিকেট প্রেমিক মানুষের মুখে মুখে । শচীন এবং সৌরভ হয়ে উঠলেন পরস্পরের পরিপূরক । পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে টরেন্টোয় এই ইনিংস – এ ৫ উইকেট নিলেন মাত্র ১৬ রানে । ১৯৯৬ সালে তৃতীয় ম্যাচে সৌরভকে বাদ দেওয়া হয়েছিল । পরের বছর একই দেশের বিরুদ্ধে একই জায়গায় চারটি খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ – এর সম্মান আসে সৌরভ গাঙ্গুলীর ঝুলিতে । ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে সৌরভ মোট ৩৭৯ রান করেছেন ।
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সৌরভ
টানটান উত্তেজনার মধ্যেই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে করা তাঁর চোখ ধাঁধানো ১৮২ রান ছিল একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে একজন ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান । এমনকি সেই সময় বোলিং- এও যথেষ্ট কৃতিত্ব দেখান সৌরভ । যখন মনে হয় বিপক্ষের ব্যাটিং গ্রানাইট পাথরের মত জমাট হয়ে উঠেছে তখন চেঞ্জ বোলার হিসাবে নেমে তিনি তাঁর গোল্ডেন আর্মের সাহায্যে একটির পর একটি উইকেট নিয়ে নেন।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক
অধিনায়ক হিসাবেওঁ সৌরভের কৃতিত্ব যথেষ্ট ঈর্ষণীয় । ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সাহারা কাপ জিতলেন ১৯৯৯ সালে । তারপর ২০০০ সাল ছিল তার স্বপ্ন পূরণের সাল। কারণ এই সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন হিসাবে তাকে নির্বাচন করা হয়। সেই সময়টা ক্রিকেট জগতের সোনার যুগ বলা যেতে পারে। কারণ তিনি একমাত্র অধিনায়ক ছিলেন যে শিখেছিলেন কীভাবে বিদেশের মাটিতে খেলে জয় ছিনিয়ে নেওয়া যায়। ২০০০ সালে অধিনায়ক হয়ে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালেন ৩-২ ম্যাচে । টানা ১৬ টি টেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড করা অস্ট্রেলিয়াকে ২ ১ মার্জিনে পরাভূত করেন তিনি । ২০০১ সালে জিম্বাবোয়ের মাটিতে টেস্ট জিতলেন । দীর্ঘ ১৫ বছর বাদে উপমহাদেশের বাইরে সৌরভের অধিনায়কত্বে ভারত সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল । বেহালার গাঙ্গুলী পরিবারের সৌরভের সৌরভ তখন ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ থেকে দেশান্তরে । শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান বা বোলার নয় , একজন দক্ষ ক্যাপ্টেন হিসেবেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য । গত কয়েক বছরে ভারত যে সফলতা পেয়েছে , তার মধ্যে প্রধানটি এসেছে টরেন্টো কাপে , সৌরভের অধিনায়কোচিত ব্যাটিং এবং ক্যাপটেনসির মাধ্যমে । এমনকি অনেকের বিশ্বাস মহারাজই প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ভারতীয় অধিনায়কের স্থান করে দেন । আজ মহারাজ না থাকলে হয়তো ধোনির মতো একজন খেলোয়াড়ের প্রতিভা আমরা জানতে পারতাম না।
সম্মান লাভ
১৯৯৭ সালে তিনি অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন, ১৯৯৮ সালে পান স্পোর্টস পারশান অফ দি ইয়ার, ২০০৪ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়া হয়, এবং ওই বছরেই তাকে রামমোহন রায় পুরস্কার দেওয়া হয়। এরকম নানা নামিদামি পুরস্কার তিনি তার নামে করেছেন।
সৌরভ গাঙ্গুলীর ক্যারিয়ারের শেষ জীবন
তার খেলার জীবনের শেষ ভাগ তার পারফরমেন্স ভালই ছিল। ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ আর খেলা হয়নি তার। এবং ২০০৮ সালের পর আর টেস্ট ক্রিকেট খেলা হয় নি,তার অবশ্য অন্য কারন ও ছিল। কারন বোর্ডের সাথে তার সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না এবং তার বয়স ও বাধার কারন ছিল। নিজের কেরিয়ারের শেষ ইনিংস তাকে শুন্য রানে শেষ করতে হয়। এই মাচের শেষ বল যখন বাকি তখন মহেন্দ্র সিং ধোনি তাকে আধিনায়কত করতে দেন। তাই অধিনায়ক হয়েই কাজ শেষ করতে হয় তাকে। এবং এখনও অনেকে ভারতীয় ক্রিকেটের বেষ্ট অধিনায়ক তাকেই মনে করে।
তবে কথায় আছে গুণীর কদর সব স্থানে, যে বছর তিনি ক্রিকেট জগত থেকে বাদ পড়েন , ঠিক সেই বছরই বলিউড তারকা শাহারুখ খান তার আইপিএল টিম কলকাতা নাইট রাইডারস (কেকেআর) এ তাকে আধিনায়ক পদে নিযুক্ত করেন। কিন্তু এখানেও তার ভাগ্য তার সাথ দেয় না। বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারনে তাকে দল থেকে বাদ পরতে হয় এবং তার জায়গায় অধিনায়ক পদ দেওয়া হয় গৌতম গম্ভীরকে। খেলা থেকে যতই বাদ পড়ুক না তিনি বাংলার মানুষের কাছে তিনি অতি কাছের, ও ঘরের একজন মানুষ। তাই তিনি যখন দাদাগিরি নামের টিভি রিয়ালিটি শোতে অন্য ভুমিকায় আসেন তখন ও মানুষ তাকে সাদরে আমন্ত্রন করে নেয়। যার ফলে এই শোটি সাফল্যের শিখরে পৌঁছায়।